ধর্মপাশায় মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ৬ পদের ৫টিই শূন্য
- আপলোড সময় : ১১-০২-২০২৫ ০৮:৩৬:২৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১১-০২-২০২৫ ০৮:৩৬:২৯ পূর্বাহ্ন
![ধর্মপাশায় মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ৬ পদের ৫টিই শূন্য ধর্মপাশায় মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ৬ পদের ৫টিই শূন্য](https://sunamkantha.com/public/postimages/67aab7ad6be89.jpg)
ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়টিতে প্রয়োজনীয় জনবল নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই কার্যালয়টিতে মাত্র একজন কর্মকর্তা দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে আসছে। এতে করে দাপ্তরিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এছাড়া মৎস্য বিষয়ক সেবা পেতে গিয়ে মৎস্য চাষীদেরকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই কার্যালয়ে ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজনীয় থাকলেও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ছাড়া বাকি সবকটি পদ শূন্য রয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই কার্যালয়টিতে ছয়টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর মধ্যে মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার পদটি সৃজন হলেও এখনো এই পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়নি। এছাড়া ২০১৭ সাল থেকে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, ২০১৫ সাল থেকে ক্ষেত্র সহকারী, ২০২১ সাল থেকে অফিস সহকারী কাম ক¤িপউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে অফিস সহায়কের পদটিও শূন্য রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে দাপ্তরিক বার্ষিক কর্মস¤পাদন চুক্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন, মাঠপর্যায়ে মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের পরামর্শ প্রদান, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, বিল নার্সারি বাস্তবায়ন, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, দিবস উদযাপন, মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদকরণসহ নানাবিধ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মৎস্যচাষী বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসে গেলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে অফিসে নিয়মিত পাওয়া যায় না। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় জলমহালে বিষ ঢেলে মাছ নিধন ও জলমহালের তলা শুকিয়ে মাছ নিধন বন্ধ হচ্ছে না। মৎস্য স¤পদ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মাছের উৎপাদন দিন দিন কমে আসছে। এ অবস্থাটি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এ উপজেলায় চরম মাছ সংকট দেখা দেবে।
ধর্মপাশা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, এই কার্যালয়টিতে জনবল সংকট থাকায় গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে আমাকে একাই সব কাজ করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দাপ্তরিক কাজকর্মসহ মৎস্য বিভাগের নানাবিধ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া আমাকে পাশের তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলায়ও অতিরিক্তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ফলে নিয়মিত এই কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না। আমাকে তিনটি উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুল করিম বলেন, ধর্মপাশা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে একজনকে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি সেখানে যোগদান করার কথা রয়েছে। এই কার্যালয়ে অন্যান্য শূন্য পদগুলোতে জনবল প্রদানে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ